গোপন বাগানের ডাক

ঐ দূরে বাগানে
কার বেহালা কেঁদে কেঁদে চলছে,
ডাক আসে।

গোপন বাগান থেকে ডাক আসে,
সেখানে বেজে ওঠে অচেনা করুণ সুর,
ঝড়া পাতারা দুমরে-মুচড়ে যায়,
চাঁদ নেই বলে নদীও রূপালী আয়না হয়ে ওঠে না।

গোপন বাগান
বেহালার ছড়া হৃদয়ে অস্ত্রোপচার চালায়,
বাগানে চলে মুগ্ধতা আর বিভ্রমের সহবাস,
নেই রাগমোচনের ক্লান্তি,
মায়ারা সেখানে ছলনা করে না।

গোপন বাগানে এসো।
কুয়াশার পেছনে লুকিয়ে লুকিয়ে,
নিজেকে হারিয়ে বেহালার কাছে,
নীরব আত্মসমর্পনে।
গলায় দলা-পাকা কান্নারা
ডুকরে উঠুক।
আঁধারে কুয়াশারা ঢেকে দিক বেহালা-বাদককে,
গোপন বাগানে অন্ধতার
একান্ত দরকার।

যদি কেউ ডাক দেয়

কেউ ডাক দেবে ভেবে বসে বসে থাকা
যদি কেউ ডাক দেয়,
অধীর হয়েছি সবাই।
গুজব চলে
ছেঁড়া শব্দে হঠাৎ সচকিত
কানাকানি চলে
কেউ কি ডাক দেয়, ডাক দেয়?
কেবল আশায় অাশায় ক্লান্ত সময় পার
ইতস্তত
ছায়ার ফাঁকে আলো কেবল চোখ ঝলসিয়েই যায়
পথ দেখায় না পথ দেখায় না
তাই
একা বসে থাকা
বৃথাই বসে থাকা
যদি কেউ ডাক দেয়

পদার্থবিদ্যার বিবর্তনে বিহ্বল ঈশ্বর

একটা সময় ছিলো।
তখন ঈশ্বরকেই সবকিছু সামলাতে হতো।
মহাসাগরের তলদেশে কোন পোকা আর
উল্কাবৃষ্টি, গ্রহনক্ষত্রের চলাফেরা –
সবকিছু তিনিই চালাতেন।মধ্যে শোনা গেলো,
তিনি নাকি কিছু নিয়ম তৈরি করে দিয়েছেন।
সেই নিয়মেই জগতটা বেশ ঘুরপাক খাচ্ছে।
অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত বলে দেয়া সম্ভব।
শুধু চলকগুলোর মান ঠিকঠাক মতো বলে দিতে হবে।

মহাবিশ্বকে যান্ত্রিক করে দিয়ে,
ঈশ্বরের হাতে তখন অসীম অবসর।

হঠাৎ একদল অর্বাচীন দাবী করে বসলো,
ঈশ্বর আসলে পাশা খেলছেন।
পাশার ঘুঁটির রয়েছে অসীম ইতিহাস
আর অসীম সম্ভাবনার ভবিষ্যত।

পাশার ঘুঁটিগুলো নাকি ঢেউ?
ঢেউগুলো নাকি পাশার ঘুঁটি?
ঐশ্বরিক ঘুটিগুলোর চলকগুলো ঠিকমতো
বের করা যাচ্ছে না।
একটিকে  চলকটি গুনলে অন্যটি অসীম হয়ে যায়।

কেউ কেউ এখন বলে
ঈশ্বর এখন নাকি সেতার, তানপুরা,
বেহালা আর গিটারের তারে সুরের কাঁপন তুলছেন।
এই চতুর্মত্রিক জগতটা নাকি
অজানা আয়নাতে পঞ্চমাত্রিক সত্যি জগতের ছায়া।

আমি একেবারেই জানিনা আসলে ঈশ্বর কি নিয়ে ব্যাস্ত।
আমার ধারণা, তিনি হয়তো পদার্থবিদ্যার সৌন্দর্যে বিহ্বল।